"সোহাগবালার ব্যাধিটি বড়ই বিচিত্র। মানুষের স্থূলত্বেরও তো একটা সীমা আছে, কিন্তু সোহাগবালার ক্ষেত্রে সব কিছুই সীমা ছাড়িয়ে গেল। প্রত্যেকদিনই সে বেশী মোটা হচ্ছে। যৌবনে সোহাগবালা অসুন্দরী ছিল না, বরং ফর্সা, চোখ, নাক, ঠোঁট সবই গোল গোল, কিন্তু স্বামীর প্রতিপত্তি বাড়বার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন তার শরীর স্থূল হতে লাগলো। একটা বয়সের পর মানুষ আর দৈর্ঘ্যে বাড়ে না, কিন্তু সোহাগবালার প্রস্থ বাড়তে লাগলো অস্বাভাবিকভাবে। তার এক একখানি হাতই যেন একজন মানুষের শরীরের সমান, বক্ষের ওপর দুটি দোদুল্যমান অলাবু। তার পা দেখে এক সময় মনে হতো ভীমের গদা, এখন মনে হয়, ভীমও বুঝি এত বড় গদা তুলতে পারতেন না। মোটা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশী ফর্সাও হচ্ছে সে, রং যেন একেবারে ফেটে পড়ছে।
দু'খানি শাড়ি একসঙ্গে জোড়া দিয়েও তার শরীরের ঘের পায় না। তার নিতম্ব এতই বড় যে হস্তিনী বললেও কম বলা হয়।"
No comments:
Post a Comment