ছোট ছোট ঢেউ, পুকুরের পানি চঞ্চল।
মৃদু বাতাসের ঘনঘন ঝাপটায় শাপলা দুলছে এদিকওদিক।
পানিপোকার আলসে সড়সড়ি।
সাদাসাদা বার্তাবাহী বৃষ্টি-ফোঁটার প্রথম পতন পুকুরের পানিতে, ঊর্মিকণার জন্ম।
পানি ফুঁড়ে ওঠা ছোটছোট গাছের পাতায় ফড়িং জিরোয় ওড়াওড়ির ফাঁকে।
উঠোনে চলছে কুকুর বেড়ালের আলস্যক্রীড়া।
কঞ্চির খাঁচায় বুলবুলির চঞ্চল লাফালাফি।
দাওয়ায় শুয়ে ক্লান্ত রমনী, বাতাস খায় তালপাতার পাখা দুলিয়ে।
সদ্যতরুনী মেয়েটি কাজল পরে যত্ন করে ডাগর চোখে, টিপও সে কাজলেই সারে ।
মুড়ি খেতে খেতে শিশুটি গেঁয়ো পথ ধরে হেঁটে যায় গৃহপানে।
আকাশভরা কালো মেঘ, বাতাস ভেজাভেজা, বৃষ্টি আসন্ন।
রাখাল ছেলে দৌড়ে যায় মাঠের গরু তাড়িয়ে আনতে।
বেগ বেড়েছে বাতাসের, বৃষ্টি নামলো বলে।
রমনী দৌঁড়ে যায় উঠোনে-মেলা কাপড় তুলতে।
মেঘ ডাকছে, ছিপ ফেলে মাছ ধরতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়া টেকো লোকের মাথায় টুপ করে পড়ল বড় এক ফোঁটা।
জেগে গিয়ে সে ছাতি মেলেছে।
বৃষ্টি নেমেছে।
কুকুরটি দাওয়ার পানে দৌড় দেয় লেজ তুলে, পৌছে গা ঝাড়া দেয় বেশ করে পানি ছিটিয়ে।
ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ গাছের পাতায় পুকুরের পানিতে, যেন সহস্র বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান।
No comments:
Post a Comment